Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

বৃটিশ শাসনামলের ১৯২৯ সনে বন ব্যবহারিক বিভাগ চট্টগ্রামের যাত্রা শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের বনজদ্রব্যের স্থানান্তর ও চলাচল কার্যক্রম বন ব্যবহারিক বিভাগ, চটগ্রাম কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতো। বর্তমানে বনজদ্রব্য পরিবহন (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০১১ এর অনুবলে এ বিভাগ আমদানীকৃত বনজদ্রব্যের স্থানান্তর/চলাচল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিগত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এদেশে  ১৮৩,৭৫৯.৬৫ ঘনমিটার কাঠ আমদানী হয়েছে। দেশে কাঠের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত বনভূমি না থাকায় কাঠ ও জ্বালানীর জন্য বনের উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে। বিদেশ থেকে কাঠ আমদানির ফলে বনের উপর এ চাপ ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। অবৈধভাবে গাছ কর্তন রোধ এবং বন ও পরিবেশ সংরক্ষণে এ আমদানিকৃত কাঠ ব্যাপক অবদান রাখছে। সেই সাথে সুরক্ষিত হচ্ছে বণ্যপ্রাণীর আবাসস্থল। বন ব্যবহারিক বিভাগ কাঠ আমদানি কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্য আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের আমদানি নীতির আওতায় ন্যাশনাল কোয়ারেন্টাইন অথরিটি থেকে আমদানি অনুমতিপত্র গ্রহন ও এল.সি এর মাধ্যমে কাঠ ব্যবসায়ীগন বিদেশ থেকে কাঠ আমদানি করে থাকে। বন্দরে আমদানিকৃত কাঠ বা বনজ দ্রব্যের কাষ্টমস ডিউটি সম্পাদন শেষে বন্দরের ছাড়পত্র গ্রহণ করত: আমদানিকারকগণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাঠ পরিবহনের চলাচল পাশের জন্য অত্র দপ্তরে আবেদন করেন। বন্দরের ছাড়পত্র যাচাই এবং কাঠের জাত ও পরিমাণ পরীক্ষান্তে অত্র দপ্তর হতে দ্রæততম সময়ে কাঠ পরিবহনের চলাচল পাশ বিধি অনুযায়ী ইস্যু করা হয়। 

বিদেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে  সাধারনত আজবী, নিমবালি, বশরালুকাস, ওলাবা, নিউবি, ইভিউস, বিলিঙ্গা, ওকান, গামার, সেগুন, গর্জন, পাইন, বীচ, স্যাপেলি, দাহোমা, কুশিয়া, ইবিয়ারা, রেড ওক, আ্যাশ, টালিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গোল ও চিড়াই কাঠ এদেশে আমদানি হয়। আমদানিকৃত কাঠগুলো রেলওয়ের স্লিপার, নৌকা, ঘরের দরজা-জানালার চৌকাঠ, চালের কাঠামো এবং আসবাবপত্র তৈরীসহ বিবিধ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়।